Skip to content

হনুমান চালিশা অসমীয়া Hanuman Chalisa Assamese

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে হনুমান চালিশা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পবিত্র স্তব। তুলসীদাস রচিত এই স্তবটিতে হনুমানজীর প্রতি ভক্তির আবেগ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। ৪০ টি ছত্র (চৌপাই) এই স্তবটিতে হনুমানজীর জন্ম, শৌর্য, বুদ্ধি, ভক্তি এবং রামায়ণে তাঁর ভূমিকা বর্ণিত হয়েছে।

    হনুমান চালিশার গুরুত্ব:

    হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, হনুমান চালিশা পাঠ করলে নানা বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং मनोकामনা পূরণ হয়। এটি নিয়মিত পাঠ করলে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতা লাভ হয় বলে মনে করা হয়।

    হনুমান চালিশা অসমীয়া – Hanuman Chalisa in Assamese

    দোহা

    শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
    বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দাযক ফলচারি ॥

    বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
    বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥

    চৌপাঈ

    জয হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
    জয কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥ ১ ॥

    রামদূত অতুলিত বলধামা ।
    অংজনি পুত্র পবনসুত নামা ॥ ২ ॥

    মহাবীর বিক্রম বজরংগী ।
    কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥ ৩ ॥

    কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
    কানন কুংডল কুংচিত কেশা ॥ ৪ ॥

    হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
    কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ॥ ৫ ॥

    শংকর সুবন কেসরী নংদন ।
    তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন ॥ ৬ ॥

    বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
    রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥

    প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা ।
    রামলখন সীতা মন বসিযা ॥ ৮ ॥

    সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা ।
    বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥ ৯ ॥

    ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
    রামচংদ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥

    লায সংজীবন লখন জিযাযে ।
    শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে ॥ ১১ ॥

    রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাযী ।
    তুম মম প্রিয ভরত সম ভাযী ॥ ১২ ॥

    সহস্র বদন তুম্হরো যশগাবৈ ।
    অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥

    সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
    নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥

    যম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
    কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥

    তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
    রাম মিলায রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥

    তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা ।
    লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥

    যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
    লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥

    প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
    জলধি লাংঘি গযে অচরজ নাহী ॥ ১৯ ॥

    দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
    সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥ ২০ ॥

    রাম দুআরে তুম রখবারে ।
    হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥

    সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
    তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না ॥ ২২ ॥

    আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
    তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥

    ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
    মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥

    নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
    জপত নিরংতর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥

    সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
    মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥

    সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
    তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥

    ঔর মনোরধ জো কোযি লাবৈ ।
    তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥

    চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
    হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিযারা ॥ ২৯ ॥

    সাধু সংত কে তুম রখবারে ।
    অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥

    অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
    অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥

    রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
    সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥

    তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
    জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥

    অংত কাল রঘুপতি পুরজাযী ।
    জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাযী ॥ ৩৪ ॥

    ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরযী ।
    হনুমত সেযি সর্ব সুখ করযী ॥ ৩৫ ॥

    সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
    জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥

    জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাযী ।
    কৃপা করহু গুরুদেব কী নাযী ॥ ৩৭ ॥

    জো শত বার পাঠ কর কোযী ।
    ছূটহি বংদি মহা সুখ হোযী ॥ ৩৮ ॥

    জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
    হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯॥

    তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
    কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা ॥ ৪০॥

    দোহা

    পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
    রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয বসহু সুরভূপ্ ॥

    সিযাবর রামচংদ্রকী জয । পবনসুত হনুমানকী জয ।

    হনুমান চালিশা পাঠের নিয়ম:

    হনুমান চালিশা যেকোনো সময় পাঠ করা যেতে পারে। তবে, সকালে স্নান করে পবিত্র মনে পাঠ করা সবচেয়ে ভালো। হনুমানজীর মূর্তির সামনে বসে, মনোযোগ দিয়ে এবং শ্রদ্ধার সাথে পাঠ করা উচিত।

    হনুমান চালিশার প্রভাব:

    হনুমান চালিশা শুধু একটি ধর্মীয় স্তব নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি ভক্তদের মনে আশা ও অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।

    উপসংহার:

    হনুমান চালিশা হল ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের একটি অমূল্য নিদর্শন। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অপরিহার্য স্তব যা তাদের জীবনে আধ্যাত্মিকতা ও শান্তি এনে দেয়।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *